মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে স্বৈরাচারের দোসর আমির আলির অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রাঙামাটিতে স্বৈরাচারের দোসর আমির আলির অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: আজ ৩ ডিসেম্বর-২০২৪ মঙ্গলবার আওয়ামীলীগের দোসর সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এর উত্তরসূরী ভূমি দস্যু মামলাবাজ মো. আমীর আলীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা ও ন্যায় বিচার পেতে রাঙামাটি শহরের পশ্চিম মুসলিমপাড়া অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২৮টি মিথ্যা মামলার আসামী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের আপন ৩ ভাই।
সংবাদ সম্মেলনে তারা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বরাবর করা আবেদনের কপি পাঠ করেন। তাদের দাবি পশ্চিম মুসলিমপাড়া আমির আলী, পিতা- মৃতঃ খুল্যা মিয়া, সাং- শিমুল তলী, ভেদভেদী, রাঙামাটি সদর, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা, তাদের বাবার ক্রয় কৃত পচিশ শতক রেকর্ডীয় জমির পাশে অবশিষ্ট খাস জমিতে তারা দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। কিন্তু পাশবর্তী পচাত্তর শতক জমির মালিক উপরে উল্লেখিত আমির আলি বিগত ১৮ বছরে ২৮টি মামলা দিয়ে তাদের বাবার ক্রয়কৃত পচিশ শতক একর জায়গা সহ বসতবাড়ি হতে তাদেরকে উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু তিনি উচ্ছেদ করেও খান্ত হননি। ২০০৬ সালে একটি চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে মো. আফসার হোসেনকে জেল হাজতে পাঠায়। তখন এলাকাবাসী ও তৎকালীন পৌর বিএনপি সভাপতি শাহ আলম খবর নিয়ে দেখে এ ধরনের চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি। এরপর থানায় কথা বলে আফসারকে জামিনের ব্যবস্থা করেন। সেদিনই আমির আলির বাসায় খাবারের আয়োজন করে তাদের বাবার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। ঐ কাগজ দিয়ে তাদের বাবার নামে মিথ্যা ভাড়াটিয়া কাগজ তৈরী করে তাদেরকে উচ্ছেদ করেন। উচ্ছেদ করেও খ্যান্ত হননি, ২০২১ সালে এ প্রকারে উভয় পক্ষ সমঝোতায় একমত হয়ে উভয়পক্ষ জায়গা বিক্রির জন্য সম্মত হয়। কিন্তু আপোষনামা হলেও তিনি সম্পূর্ন জায়গা বন্ধক রেখে আইএফআইসি ব্যাংক হতে এক কোটি টাকা গোপনে লোন নেওয়ার জন্য উদ্ধত হয়। তারা খবর পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে সে সাবেক তথ্য মন্ত্ৰী হাসান মাহমুদকে ব্যবহার করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাকে ফোন দিয়ে তাদের তিন ভাইয়ের নামে চাদাঁবাজির মামলা করে এবং তাদেরকে ৪১ দিন জেলে রাখে। এরপর দক্ষিণ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজকে রাঙামাটি এনে তৎকালীন এমপি দীপংকর তালুকদারকে বিষয়টা দেখার জন্য অনুরোধ করেন। দীপংকর তালুকদার যুবলীগের নেতা মুজিবকে বিষয়টি সরোজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি উভয় কাগজ যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি। যা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান ও জানতেন। সোলায়মান শুক্কুর আসবাব পত্র সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং পেয়ার আহম্মেদ পরবর্তী আসবাব পত্র সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহ সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি। তাদের বাবার ক্রয়কৃত জমি আমির আলি বিভিন্ন ভাবে মামলা হামলা দিয়ে এখন পর্যন্ত রেজিষ্ট্রি করতে দেননি। তাদের বাবা পচিশ শতক জায়গা ক্রয় করেন ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে এবং আমির আলি পঞ্চাশ শতক জায়গা ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে যাতে সে সরকারের পাওনা ভ্যাট ট্যাক্স ফাকি দিতে পারে। তার ক্রয় সূত্রে কোন চৌহদ্দি ছিলনা এবং আদালত চৌহদ্দি অর্ন্তভূক্ত করা যাবে না বলে আদেশ দিলেও সে জালিয়াতির মাধ্যমে চৌহদ্দি অর্ন্তভূক্ত করে, আদেশের মামলা নাম্বার- ৫৫৯। যাহা আদালত অবমাননার সামিল।
গত ৫ আগষ্টের পর তড়িগড়ি করে সে আরেকটি ঘর নির্মাণ করতে গেলে তাকে সমাজে ডেকে পাঠায়। সমাজে আসার পরে তার ছেলে ৯৯৯ এ কল করে তার বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এস আই জাহাঙ্গীর আফসারকে ফোনের মাধ্যমে আমির আলির বিষয় জানতে চায়,তখন আফসার তাকে জানান যে আমির আলি সমাজের অফিসে আছেন। তিনি পুলিশকে সমাজের অফিসে আসতে অনুরোধ করেন। অনুরোধ করলে এস আই জাহাঙ্গীর সমাজের অফিসে আসেন। এস আই জাহাঙ্গীর আমির আলি কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন প্রকার অপহরণ বা চাদাঁবাজির অভিযোগ নাকচ করেন এবং সে সেচ্ছায় এসেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন যা ভিডিও করে রাখা আছে। এস আই জাহাঙ্গীর উভয়পক্ষকে ২ দিন পর বসে সমাধান করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং উভয়কে নিজ নিজ বাসায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আমির আলি সেদিন সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা চাদাঁবাজির মিথ্যা জিডি করে। রাঙামাটি সেনা জোন কমান্ডার বরাবরে ৩৫ লক্ষ টাকা চাদাঁবাজি এবং তাকে মারধরের কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেন। এরপর দিন জোন কমান্ডার আমাদের উভয়পক্ষকে ডাকেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত করেন। তিনি তদন্ত করে তাদের উভয়কে সামাজিক ভাবে বসে সমাধানের পরামর্শ প্রদান করেন। গত ১৪/১১/২০২৪ ইংরেজি তারিখে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উভয় পক্ষ বৈঠক করলে আমির আলির উগ্র মেজাজের কারনে সে দিন সমাধানে পৌছানো সম্ভব হয়নি এবং ২ দিন পর আবার বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে না বসে ২৯/১১/২০২৪ ইংরেজি তারিখে সে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সে দাবি করে যে তার কাছ থেকে ২ কোটি ২৫ লক্ষ চাদাঁ দাবি করেছি বলে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করে।
সে প্রত্যেক বার ভিন্ন ভিন্ন চাদাঁর টাকার কথা বলে যাতে বোঝা যায় সে মিথ্যা কথা বলছে। অবশেষে সে নিজেকে বিএনপি-জামাতের কর্মী দাবি করে এবং সে বলে যে আমির আলি টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে নিব এবং বিএনপির লোক দিয়ে বিএনপির লোককে পিটাব। পরিশেষে তার নামে পচাঁত্তর শতক জায়গা থাকলেও সে দখলে আছে প্রায় ৫০শতক জায়গা। তারা আমির আলির টাকার কাছে অসহায়। দীর্ঘ ১৬ বছরের অত্যাচার নিপিড়ন হতে মুক্তি পাওয়ার আশায় সমাজের দর্পন সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে ২৮টি মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে স্থানীয় প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা হচ্ছেন, মো. আফসার হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মো. রবিউল হোসেন, সকলের পিতা মৃতঃ মো. হোসেন। তাদের ঠিকানা পশ্চিম মুসলিমপাড়া, ভেদভেদী, রাঙামাটি সদর, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অনলাইন,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।