শুক্রবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজান পৌরসভা যুবলীগের নেতাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
রাউজান পৌরসভা যুবলীগের নেতাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার ২৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জালালাবাদ জেএল-৬ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত আরিফ রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহেদের খীল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানিয়েছে অপহৃত আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগম। তিনি বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আমার সাথে সর্বশেষ রাত পৌনে ৯টায় কথা হয়। এর পর থেকে উনার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অনলাইনেও পাচ্ছিলাম না। আমি আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে রাতে আর সন্ধান পায়নি। পরদিন ভোরে আমার স্বামীর স্মার্ট ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। রিসিভ করলে আমার স্বামীর পাশে আছেন জানিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তি কথা বলেন। তিনি আমাকে জানান, আপনার স্বামী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, এখন আমার হেফাজতে আছে। কিন্ত আমাকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি পুনরায় আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অন্য এক নম্বরে ফোন করে সংযোগ রেখে আমাকে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়েছে আমার স্বামীর সারাসরি কথা বলেনি, অন্যজনের মোবাইলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কথা বলেছেন। তারা আমাকে সকাল ১১টার মধ্যে টাকা জোগার করতে সময় দেন, যোগার করতে না পারায় পরে দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার-দেনা করে জোগার করার কথা জানালে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর আমি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরী করে ফিরে আসতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। কেউ নিখোঁজ হলে নিখোঁজ ডায়েরী নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অপহরণের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
রাউজানে ৩১ দফা বাস্তবায়ন লক্ষ্যে বিএনপির বিশাল জনসভা
রাউজান :: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর বিকালে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নে বিএনপি উদ্যোগে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এডভোকেট হাশেমের সভাপতিত্বে এবং শফিউল আজমের সঞ্চালনায় জসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক ফিরোজ আহমেদ, হাজী জসিম, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় বিএনপি সাবেক সভাপতি এইচ এম হারুনুর রশিদ, হাবিব মাস্টার, মুবিনুল হক, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ইউসুফ তালুকদার, রাউজান থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জানে আলম, রাউজান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকরাম মিয়া, রাউজান পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাজান সাহিল, রাউজান উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইসতিয়াক অভি, সভায় বক্তব্য রাখেন, ইলিয়াস জাবেদ, আলমগীর, ইলিয়াস, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তসলিম ইমন। উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছোটন আজম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইয়াছিন আরাফাত জামশেদ প্রমুখ।
রাউজানে সড়কের পাশ থেকে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে বিক্রি
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে ডাবুয়া এলাকায় সড়কের পাশে বেড়ে উঠা অর্ধশতাধিক সরকারি গাছ কেটে নিধন করা হয়েছে। স্থানীয় এক লোক সরকারি গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সততা মিলেছে। পরিবেশ রক্ষায় লাগানো গাছ গুলো কেটে এলাকার সৌন্দর্য দংশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রায় কিশোরী সড়ক নামে একটি সরকারি সড়ক থেকে গত কয়েকদিন ধরে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নিধন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান ইকবাল চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি গাছগুলো কাটে বিক্রি করেছে। ইকবাল চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নয়, গাছগুলো আলী মাহাবুব বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা তার কাছ থেকে কিনেছেন তারাই গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে আলী মাহাবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পর গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ইছামতি রেঞ্জের রাউজান ঢালার মুখ স্টেশন অফিসার উজ্জল কান্তি মজুমদার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমরা কাউকে গাছ কাটার জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর আমরা কাউকে অনুমতি দিতে পারিনা। জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, সরকারি গাছ কাটা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে বা যারা আইন অমান্য করে গাছ কেটেছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।