বুধবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিটিসেল অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে কর্মকর্তারা
সিটিসেল অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে কর্মকর্তারা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের তিন উপজেলায় এক মাস যাবত্ সিটিসেল মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই ৷ ফলে ঝিনাইদহে জেলায় সিটিসেলের ১০ হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন৷ এদিকে জনরোষে পালিয়েছেন কোম্পানীর ঝিনাইদহের ডিলার ফেইথ টেলিকোমের মালিক শহিদুল ইসলাম মিঠু৷ টেরিটরি অফিসার বুলবুল আহম্মেদও অফিসে আসে না৷
ফলে গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেনের পক্রিয়াও বন্ধ হয়ে আছে৷ গ্রাহকরা এইচ.এস.এস সড়কে অবস্থিত কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখেন অফিস বন্ধ৷ আব্দুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, বেশি ভাগ সময় ঝিনাইদহের কাস্টমার অফিসটি বন্ধ থাকায় তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেন করতে পারছেন না৷ তার মতো শত শত গ্রাহক প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন৷ নেটওয়ার্ক না থাকায় স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে পারছেন না৷
কোম্পানীর ঝিনাইদহের ডিলার শহিদুল ইসলাম মিঠু মুঠো ফোনে জানান, কারিগরী ত্রুটির কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকপুায় নেটওয়ার্ক বন্ধ৷ কি সমস্যা আছে তাও তিনি বলতে পারেন না৷ ঝিনাইদহ কাস্টমার কেয়ারের টেরিটরি অফিসার বুলবুল আহম্মেদ জানান, কি কারণে নেট বন্ধ তা আমার জানা নেই৷
আপনারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারেন৷ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটিসেল কোম্পানীর এক কর্মকর্তা জানান, টাওয়ারের বিদ্যুত্ বিল বাকী থাকার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুত্ বিভাগ৷ ফলে বিটিএস মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে৷ এ ছাড়া বিটিআরসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে৷ টাকার অভাবে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা যাচ্ছে না৷ বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগের ম্যানেজার (নেটওয়ার্ক) আমির হোসেন জানান, বিদ্যুত্ লাইন বিচ্ছন্ন থাকার কারণে ট্যকনিক্যাল কিছু সমস্যা হয়েছে৷
এ কারণে আমরা সেবা দিতে পাচ্ছি না৷ তবে দ্রুতই আমরা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো ৷ তবে তিনি বিটিআরসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে জটিলতার কথাটিও জানান৷