শুক্রবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় কৃষকের বিস্তীর্ন মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে। সরিষার ফুলের সুগন্ধে আর ফুটন্ত ফুল হতে মধু সংগ্রহ করতে এখন ব্যস্ত মৌমাছিরা। রোপন করা ফসলি জমিগুলোতে হলুদ ফুলে ছেয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। রাউজান কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় বারি জাতের সরিষার চাষ করা হয়েছে ৭৪০ হেক্টর, বিনা জাতের সরিষা ক্ষেত ১১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। এবছর উপজেলাজুড়ে ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। ২০২৪ সালে ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হলেও। এবার চলতি বছরে তা দ্বিগুন বেড়ে আবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর জমিতে। দিন দিন এই উপজেলায় সরিষার আগ্রহ বাড়ছে। হলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. হোসেন বলেন, আমি দেশি জাতের সরিষা চাষ করেছি ৫০শতক জমিতে। কৃষি অফিস হতে বিনামূল্যে আমাদের সরিষার বীজ ও সার দিয়েছেন। এই ফলনে কষ্ট কম লাভ বেশি। বাজারে সরিষার তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাজারে তেল বিক্রি করে আশা করছি ভালো দাম পাওয়া যাবে। কৃষক মোরহম আলী বলেন, ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা আবাদ করছি। এই ফসল উৎপাদনে খরচ কম। লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষাবাদের প্রতি আমাদের কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার রাউজানে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। এখান থেকে অনেক বেশি সরিষা উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরণ করতে বারি ও বিনা জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলার অর্থয়ানে ২টন উন্নত জাতের সরিষা বীজ দেওয়া হয় কৃষকদের। এছাড়াও কৃষকদের প্রণোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে সার, বীজ। রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন,‘এবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হয়েছে। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষের প্রতি এই উপজেলরা কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। সরিষা থেকে তেল উৎপাদনের পাশাপাশি এখান থেকে গবাদী পশুর ও মাছের খাদ্য পাওয়া যায়। যা বাজারে বিক্রি করে আয় হয়।’