সোমবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ অংশের বটতলা বাসস্ট্যান্ড নামক স্থানে রাস্তায় অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রগাড়ি রেখে অবরোধ করেছে চালকরা। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি চলা এই অবরোধের কারনে মহাসড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ইকবাল হোসাইন ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে চালকরা অবরোধ তুলে নেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও চালক সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরের সামনে থেকে নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর পর্যন্ত কমপক্ষে ১শ মাহেন্দ্র (স্থানীয় ভাষায় পাওয়ার) গাড়ি চলাচল করে আসছে। গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতারা ওই সব যানবাহন থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার ও প্রতিদিন ২শ করে টাকা আদায় করতো। এ নিয়ে তখন প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পরে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে ওই সড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেশী দিন তা বহাল থাকেনি। এর মধ্যে ওই নেতারাই স্থানীয় বিএনপির নেতাদের হাত করে ফের চাঁদা আদায় শুরু করে। এতে প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজদের হাতে মারধরের শিকার হয় অনেক চালকরা। গত রবিবার দুপুরে বাবু নামে এক চালক নিজের পাওয়ার গাড়ি নিয়ে কানুরামপুর বাজারে গেলে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন রুবেল নামে একজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চালক বাবুকে মারধর করেন রুবেল। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সোমবার উপজেলার বটতলা বাজারে শতাধিক চালকরা একত্রিত হয়ে চাঁদা বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভ মিছিল করে।
টিপু নামে এক চালক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে পাওয়ার গাড়ি চালান। ঈশ্বরগঞ্জের জসিম নামে এক ব্যক্তি প্রতিগাড়ি মাইস্যা (প্রতিমাস) ৩ হাজার টাকা দাবি করে। না দেওয়ায় গাড়ি চালানো বন্ধের কড়া নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানান ধরনের হুমকী দিয়ে আসে। চালক টিপু আরও জানান, চাঁদা দিতে হলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করা হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল জানান, তার কানুরাম বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকান আছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন মবিল ও আনুষাঙ্গিক জিনিস নিয়ে টাকা বকেয়া রেখেছিল। ওই টাকাই চাওয়া হয়, চাঁদা নয়। তাছাড়া মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপর দিকে অভিযুক্ত জসিম জানান, তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ প্রমান করতে পারলে যে কোন শাস্তি মেনে নিবেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান, প্রতিবাদি চালকদের বলা হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।