![দীপংকর তালুকদার কলেজ এর নাম পরিবর্তন করে বেতবুনিয়া কলেজ নামকরণ](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/2025/02/45917-micro.jpg)
![CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের](https://www.chtmedia24.com/cloud/archives/fileman/logo.jpg)
বৃহস্পতিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে শহীদ কাশেমের গায়েবানা জানাজা
রাঙামাটিতে শহীদ কাশেমের গায়েবানা জানাজা
আহমদ বিলাল খান :: গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হওয়া কাশেমের আত্মার মাগফিরাত কামনা, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার ও খুনি হাসিনার ফাঁসির দাবিতে রাঙামাটিতে গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাঙামাটির নেতারা।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাত ৯ টায় রাঙামাটি কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ গায়েবানা জানাজা। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবিব আজম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. ইমাম হোছাইন ইমু, ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, মো. রবিউল ইসলাম, তাহসিন ওয়াহিদ, মো. সাউবান, আব্দুস সাত্তার, মো. সোহাগ, মো. ইরফান সহ আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া রাঙামাটির সাধারণ জনগণ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার পরে রাত সাড়ে ৯ টায় এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, যা কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের বনরূপা এসে ১০ টায় শেষ হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি-সহ সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছিল। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে। শহীদ বীর কাশেম এই ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনের নির্মম শিকার। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়, যেমন— “শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না!”
“গণহত্যার বিচার কর, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই!”
“আওয়ামী লীগ নিপাত যাক!”
“ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর!”
বিক্ষোভ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন— “শহীদ বীর কাশেমসহ সকল শহীদের রক্তের বদলা নিতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি অবিলম্বে হত্যাকারীদের বিচার না হয়, তাহলে দেশের ছাত্র সমাজ আরও কঠোর আন্দোলনে নামবে।” বিক্ষোভ মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়, তবে অংশগ্রহণকারীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।