বৃহস্পতিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
ঝিনাইদহে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ::(১৫ বৈশাখ ১৪২৩: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৩মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়নের বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে ৷ এতে যেমন শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ৷ সেই সাথে বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়দের গরু চড়ানোর ফলে নষ্ট হচ্ছে পাঠদান ও খেলাধুলার পরিবেশ৷
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে শৈলকুপার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যায়৷ এর মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনী কক্ষের টিনের চালা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্ হয়৷ যা কিনা এখন পর্যন্ত মেরামত করতে সক্ষম হয়নি কর্তৃপক্ষ ৷ যে কারনে ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনীর ১৬০ জন কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএলকে মীর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে টিনের চালা না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে সারিবদ্ধ হয়ে ক্লাস করছে৷
ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, ঝড়ে তাদের ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে৷ সেই সাথে একটু বৃষ্টি হলেই ব্যাহত হয় তাদের পাঠদান৷ একই সাথে তারা আরো জানায়, স্থানীয় লোকজন স্কুল মাঠে গরু চড়ানোর কারনে খোলা মাঠে পাঠদান, খেলাধুলা ও টিফিনের সময় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে ৷
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গহর আলী জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষের টিনের চালা লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে আমরা বাধ্য হচ্ছি ৷
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, ক্লাশ রুমের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করাতে হচ্ছে ৷ ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় মেরামত করতে বিলম্ব হচ্ছে ৷ এছাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয়রা গরু চড়ানোর ফলে পাঠদান করাতে আরও অনেক সমস্যা হচ্ছে ৷ অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান চলাকালীন গরুর আক্রমনের শিকার হয় ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ আমরা এর প্রতিকার ও সহযোগিতা চেয়ে ইতি মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত করেছি৷
এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা৷