শনিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » কারারক্ষী রুস্তম আলীর লাশ তুলে গ্রামে নিয়ে গেল পরিবার
কারারক্ষী রুস্তম আলীর লাশ তুলে গ্রামে নিয়ে গেল পরিবার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে খুন হওয়া অবসরপ্রাপ্ত (এলপিআর) কারারক্ষী রুস্তম আলীর (৬৫) লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে ৷ ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিহত রুস্তম আলীর পরিবার পুলিশকে না জানিয়ে লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন ৷
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার গত ২৭ এপ্রিল বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লাশ তোলার আবেদন করেন ৷ তাতে বলেন, তাদের পরিবারের সবার দাবি লাশ গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী কবরস্থান থেকে তুলে তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর নিয়ে যাবেন৷ সেখানে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে৷
কিন্তু প্রশাসন তাত্ক্ষণিক অনুমতি না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সময় চেয়েছিল৷ নিহতের পরিবার সেই সময় না দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে লাশ তোলে৷ পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়ি উপজেলার চড়কগাছিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়৷
তার ছোট ভাই শাহ আলম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে পিরোজপুরের চরকগাছিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে রুস্তম আলীকে আবারও দাফন করেছেন তারা৷
কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, তাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুস্তম আলী লাশ তুলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে ৷ তবে তোলার সময় পুলিশকে অবহিত করেনি৷
এদিকে রুস্তম হত্যাকণ্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ৷ তদন্ত কর্মকর্তারা আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বলেন, রুস্তম আলী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হিমেল আহমেদ রিমান্ডের প্রথম দিন কোনো তথ্য দেয়নি৷ তবে তাকে আরও দুদিন আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব৷
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক কারারক্ষী মোঃ রুস্তম আলী হাওলাদার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন৷ পরে ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন৷
এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগরের দেওলিয়াবাড়ি এলাকার মোঃ হাসান মিয়ার ছেল হিমেল আহাম্মেদ (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ রুস্তম আলী গত ৬ মাস আগে অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যান৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ি, রুস্তম আলীর শরীরে ৬টি গুলি করা হয়েছিল৷ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশ এবং কারা কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ৷