শিরোনাম:
●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ১ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ফিরে দেখা : ২৬ এপ্রিল ২০১৩ : এদেশের রাজনীতিকেরা অন্ধ নয় তবে একগুঁয়েমীগ্রস্থ
প্রথম পাতা » জাতীয় » ফিরে দেখা : ২৬ এপ্রিল ২০১৩ : এদেশের রাজনীতিকেরা অন্ধ নয় তবে একগুঁয়েমীগ্রস্থ
রবিবার ● ১ মে ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফিরে দেখা : ২৬ এপ্রিল ২০১৩ : এদেশের রাজনীতিকেরা অন্ধ নয় তবে একগুঁয়েমীগ্রস্থ

---

অনলাইন ডেস্ক :: সাভারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কিংবা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই বহু বিতর্কিত বক্তব্য দেশবাসী উপঢৌকন পেয়েছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট সংবাদসমূহকে ঘটনা পরম্পরায় সাজানো হলো।

১. মৃতের সংখ্যা ৩ শতাধিক, দুই সহস্রাধিক জীবিত উদ্ধার
সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩ শত ছাড়িয়ে গেছে। ভবনটিতে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজ অবিরাম চলছে।

২. জীবন বাজি রেখে উদ্ধারে নামেন সাধারণ মানুষ
সাভার বাজার থেকে এনাম মেডিকেল পেরিয়ে গেন্ডা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। পুরো রাস্তার দুপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ। লাঠি হাতে দাঁড়ানো একদল যুবক মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ নেই। আছে সাধারণ মানুষ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো যাতে নির্বিঘ্নে হাসপাতালে যাতায়াত করতে পারে, সে জন্য কড়া রোদ উপেক্ষা করে তারা নিজেরাই দাঁড়িয়ে গেছে রাস্তায়।
ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে দেখা গেল শত শত মানুষ। যে যার মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। কেউ ভাঙা অংশ ধরে টানাটানি করছে, কেউ বিশাল আকারের স্তম্ভ উঁচু করে টেনে ধরছে, যাতে আটকে পড়া লোকটি কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যান। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা কেউ ছাত্র, কেউ বেকার, কেউ পোশাক কারখানার শ্রমিক আবার কেউ মুদি দোকানি বা দোকানের কর্মচারী। ধসে পড়া কারখানায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে এরাই মূল শক্তি।

৩. পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
বেলা দুইটা পর্যন্ত ভবনের পেছনের অংশে সরকারি উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা যায়নি। একদল সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো করে সেখানে উদ্ধারে নেমে যায়। অনেক পরে একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এসব লোকের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তার পরও মানুষ এলাকা ছেড়ে যায়নি।
রানা প্লাজার সামনে মূল সড়কের ওপর বিভিন্ন সংস্থার যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আহত কাউকে আনার সঙ্গে সঙ্গে তোলা হচ্ছে সেই অ্যাম্বুলেন্সে। আর অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ঝুলে ঝুলে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসছিল সাধারণ মানুষ।
দুর্ঘটনাস্থলে স্বজনের খোঁজে আসা কম্পিউটার ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছুক্ষণ পরপর সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা আসছেন। তাঁদের পেছন পেছন ছুটছে শত শত র‌্যাব-পুলিশ। এদের তৎপরতার কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে।
বেলা আড়াইটার সময় সাভারের শুভেচ্ছা হোটেলে ঢুঁ মারতেই চোখে পড়ল র‌্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর উপস্থিতি। ভেতরে কোনো চেয়ার খালি নেই। পাশে রাস্তার ওপর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের যানবাহন দাঁড়ানো। সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা আছে। কর্মকর্তাদের অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন সেই সব ক্যামেরার দিকে মুখ করে। টিভি প্রতিবেদক কখন প্রশ্ন করবেন আর তাঁরা উত্তর দেবেন, সেই প্রতীক্ষায়। আর ধসে পড়া ভবনের ভেতরে তখন উদ্ধারের আশায় ক্ষণ গুনছিলেন অসহায় শ্রমিকেরা।

৪. ‘রানা প্লাজা’ নির্মাণে অনিয়ম
সাভার পৌরসভার প্রকৌশলী ইনতেমাম হোসেন জানান, তাঁদের কাছ থেকেই ভবনের নকশা পাশ করা হয়৷ কিন্তু ভবনটি তৈরির সময় সে নকশা মানা হয়নি৷ আর ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী৷ সে কারণেই ভবনের ৬টি পিলারে ফাটল দেখা যায়৷ তারা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নোটিশ দেয়ার পরও যুবলীগ নেতা সোহেল রানা তাদেরকে পাত্তা দেননি৷ এছাড়া পৌর প্রকৌশলী জানান, পুকুর ভরাট করে নরম মাটিতে ভবনটি নির্মাণের জন্য ঠিকমতো পাইলিংও করা হয়নি৷ নির্মাণের সময় তাঁরা এ বিষয়ে বার বার তাগাদা দিয়েছেন৷ নির্মাণকাজ বন্ধও রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু সোহেল রানা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁকে আটকানো যায়নি৷

গত ২০০৬ সালে এই ভবনটি নির্মাণের পর এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ অবৈধভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিসহ সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদও উপস্থিত ছিলেন৷

৫. বিজিএমইএ ‘না’ করলেও চালু রাখেন মালিকেরা
সাভারের রানা প্লাজায় অবস্থিত পাঁচটি পোশাক কারখানার মালিকেরা গত পরশু ভবনে ফাটলের কথা জানিয়েছিলেন বিজিএমইএকে। বিজিএমইএ এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠিয়ে ভবন পরীক্ষা করায়। তারপর মালিকদের মৌখিকভাবে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয়। কিন্তু শোনেননি মালিকেরা।
বিজিএমইএর নির্দেশনা ছিল, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের দিয়ে ভবন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কারখানা চালু করা যাবে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। কারখানার মালিকেরা ভবন-মালিকের পরামর্শ অনুসারে কারখানা চালু রাখেন। ভবনের মালিক স্থানীয় কোনো একজন প্রকৌশলীকে এনে ভবনে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানিয়ে দেন। বলা হয়, সমস্যা হয়েছে পলেস্তারাতে।

৬. স্যার বললেন, ওদের আসতে বলো
স্যারকে বললাম, কী করব? স্যার বললেন, ঠিক আছে, ওদের আসতে বলো। কাজ করুক। আরও কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার দেখিয়ে ফাইনাল ডিসিশন নেওয়া যাবে।’
আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার সপ্তম তলায় থাকা নিউ ওয়েভ স্টাইল গার্মেন্টসের উত্পাদন ব্যবস্থাপক মো. পিন্টু। তিনি জানান, গত সোমবার ভবনের তৃতীয় তলার একটি পিলারের প্লাস্টার খসে পড়ার পর কারখানার মালিক বজলুস সামাদের সঙ্গে তাঁর এই আলাপ হয়।

৭. ডেকে এনে শত প্রাণ হত্যা
সাভারের রানা প্লাজার মালিক যুবলীগের নেতা সোহেল রানার নয়তলা ভবনে পাঁচটি পোশাক তৈরির কারখানা। রানার আহ্বানে কারখানার মালিকেরা গতকাল সকালে কর্মীদের ডেকে এনে কাজে যোগদান করান। আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিলে তাঁদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই ভবনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কারখানা চালু না করতে বলেছিল মালিকদের। কিন্তু তাঁরা সে নিষেধ মানলেন না। তাঁরা শুনলেন ভবনমালিক যুবলীগের নেতার কথা।

৮. ওরে ফোন কইরা মরণের কাছে লইয়া গেছে
আমার মাইয়া যাইতে চায় নাই আইজকা, ওরে ফোন কইরা মরণের কাছে লইয়া গেছে।’ মেয়ে রেহেনা আক্তারের একটি ছবি নিয়ে মা মাহফুজা বেগম এভাবেই হাহাকার করে কাঁদছিলেন। সামনে যাকে পাচ্ছেন, তাকেই কাঁপা কাঁপা হাতে ছবিটি দেখিয়ে মাহফুজা বলছিলেন, ‘ভাই, আমার মাইয়ারে দেখছেন?’

৯. ঘটনার ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম - প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকালে কিছু লোক মূল্যবান মালামাল সরাতে গিয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে। সাভারের সর্বস্তরের মানুষ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উদ্ধার কাজে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সব ধরনের সহায়তা পাঠানো হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃতদেহগুলো তাঁদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে ভবনের ভেতর আটকে পড়া লোকজনের জন্য অক্সিজেন ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

১০. প্রশাসনের গাফিলতি
গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তৃতীয় তলায় ফাটল দেখে বিভিন্ন তলায় কর্মরত শ্রমিকেরা আতঙ্কে বেরিয়ে যান। একপর্যায়ে সবগুলো কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকও ছুটি ঘোষণা করা হয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন সরদার ভবন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভবন ধসে পড়ার মতো কোনো কারণ এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। ভবন ধসে পড়ার পর গতকাল জানতে চাইলে কবীর হোসেন বলেন, তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফোন করে ওই ভবনে ফাটলের বিষয়টি জানানো হয়। তখনই সাভারের ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ইউএনও ঘুরে আসার পর তাঁর ভবনটি একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। এখন কী ব্যবস্থা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নের কী উত্তর দেব বলেন!’

১১. শ্রমিকেরা শুধু শুধু আতঙ্কগ্রস্ত হয় - রানা
ভবনের মালিক সোহেল রানা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঙ্গলবার বলেছিলেন, শ্রমিকেরা শুধু শুধু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে যান। ভবন ধসে পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়নি।

১২. হরতাল বিরোধী মিছিলের জন্যে লোক জড়ো করেছিল রানা
রানা স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী। গত মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ফাটল দেখা দিলেও তিনি তা আমলে নেননি। বরং গতকাল সকালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল করার জন্য ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সকালে সেখানে লোকজন জড়ো করেন মিছিলের জন্য। রানা প্লাজার নিচতলায় তাঁর একটি ব্যক্তিগত কার্যালয় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনটি ধসে পড়ার সময় তিনি সেখানেই ছিলেন, আহতও হন। কিন্তু পরে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মিছিল করতে আনা লোকজনের কেউ কেউ চাপা পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

১৩. স্তম্ভ ধরে নাড়াচাড়া ভবনধসের কারণ হতে পারে - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ ধরে ‘নাড়াচাড়া’ করেছিল। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটিকেও ‘একটি কারণ’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
গতকাল বুধবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদেরও এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দৃশ্যত যে নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণ করা উচিত ছিল, সে নির্দেশনা অনুসরণ করে ভবনটি করা হয়নি। যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা উচিত ছিল বা আইন অনুযায়ী ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ছিল, তা সর্বাংশে ব্যবহার করা হয়নি। যাঁরা এখানে ইমারতের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন, যাঁরা ইমারত নির্মাণের তত্ত্বাবধানে ছিলেন, তাঁদের গাফিলতি ছিল। এ গাফিলতির কারণেই মূলত এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ভবনধসের জন্য স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানকার (সাভারের) মৌলবাদী… বিএনপি… এদের (শ্রমিকদের) হরতালের জন্য আহ্বান জানাচ্ছিল। আমাকে বলা হয়েছে, হরতাল-সমর্থক কতিপয় ভাড়াটে লোক সেখানে গিয়ে ওই যে ভাঙা দালান ছিল বা ফাটল ধরা দালান ছিল, সেই দালানের বিভিন্ন স্তম্ভ নিয়ে নাড়াচাড়া করে এবং যে গেট বা দরজা ছিল, সেটা নিয়েও নাড়াচাড়া করে। এটাও এ ধরনের একটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
ভবন ধরে নাড়াচাড়া করার কারণেই ভবনটি ধসে পড়েছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অংশ হতে পারে। ভবন সম্পর্কে মনে রাখা দরকার, যখন একটি ভবন ধসে পড়া শুরু হয়, তখন তার একটি অংশ বা খানিকটা অংশ ধসে পড়লে বাকি অংশের ওপরও এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে ধরনের প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হতে পারে।’

১৪. একটা পিলার ফাটলে কিছু হয় না - রানা
সারা শরীরে রক্তমাখা শিরিনের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনে ফাটল দেখা দিলে তাঁদের পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ কাজে গিয়ে শ্রমিকেরা তাঁদের আতঙ্কের কথা জানান। তবে কর্তৃপক্ষ তা কানে তোলেনি। ‘কিছু হবে না’ বলে একরকম জোর করে তাঁদের কারখানায় ঢোকানো হয়। রানা নামের একজন তখন হ্যান্ডমাইকে বলতে থাকেন, ‘একটা পিলার ফাটলে কিছু হয় না!’

১৫. আমরা সবকিছু পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভবনে ফাটল দেখা যাওয়ার পরও পরের দিন কীভাবে সেখানে শ্রমিকদের কাজে পাঠানো হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা পুলিশি রাষ্ট্র নয়। আমরা সবকিছু পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা বলেছি, ভবনটি বিপজ্জনক। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও বলেছে। তথাপি কতিপয় লোক সেখানে গেছেন। আমাকে বলা হয়েছে, তাঁরা নিজের সম্পত্তি বা জিনিসপত্র উদ্ধার করতে গেছেন।’

১৬. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংযত হওয়ার পরামর্শ হানিফের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে কথাবার্তায় সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উল্টা-পাল্টা কথা না বলে যাদের অবহেলায় এই ঘটনা ঘটেছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওয়তায় নিয়ে আসুন।

হানিফ বলেন, সাভার ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান পরিষ্কার করুন। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।’

১৭. অপরাধী অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবে - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভবনের মালিক ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলে এ ঘটনার কোনো বিচার হবে না—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। অপরাধী অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবে।

১৮. ভবনমালিক যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেই
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। গতকাল তাঁর নয়তলা ভবনটি ধসে পড়ার পর থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী বলেন, ‘ভবনধসের ঘটনায় রানা তাঁর নিজ অফিস কক্ষে আটকা পড়লেও পরে বের হয়ে যান বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা আমাদের জানা নেই।’ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।

১৯. শাস্তির চেয়ে বেশি জরুরি প্রাণ বাঁচানো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির চেয়ে এখন বেশি জরুরি ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা আটকা পড়ে আছেন, তাঁদের জীবিত উদ্ধার করা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকজন প্রকৌশলী ও শ্রমিকনেতার সমালোচনা করে বলেন, যখন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজন বাঁচার জন্য হাহাকার করছে, তখন উদ্ধারকাজে সহযোগিতা না করে কয়েকজন প্রকৌশলী ও শ্রমিকনেতা টিভি চ্যানেলের টক শোতে ব্যস্ত।
টক শোতে একজন প্রকৌশলী ভবনধসের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন। সেই প্রকৌশলীর নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির চেয়ে সরকারের কাছে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা।

২০. আমি একজন হতভাগা এমপি: তৌহিদ জং
সাভারে রানা প্লাজা ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ বলেছেন, আমি একজন হতভাগা এমপি। কয়েকদিন পরপর আমাকে লাশ দেখতে হয়। আমার এখানে শত শত লোক মারা যায়। বিল্ডিংটি নিয়মানুযায়ী ছিল না। এজন্য কারা দায়ী তা তদন্ত করতে হবে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি উদ্ধার কাজ শেষ হলে পৌরসভা, রাজউক ও প্রশাসনের লোকদের নিয়ে সাভার এলাকার প্রত্যেকটি ভবন আমি নিজে পরিদর্শনে যাবো।

২১. উদ্ধারের পর অজ্ঞাত স্থানে ভবনমালিক
নিজের ভবন রানা প্লাজা যখন বুধবার সকাল নয়টার দিকে ধসে পড়ে, তখন সেখানেই ছিলেন ভবনটির মালিক সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা। এ সময় তিনি সামান্য আহত হন এবং জনতার রোষানলে পড়েন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ এসে রানাকে উদ্ধার করেন। সেই থেকে রানা পলাতক আছেন।

২২. সন্ত্রাসী থেকে ‘রানা প্লাজার’ মালিক যুবলীগের রানা
সোহেল রানার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাভারের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফ উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, রানা সাভারে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রানা ও তাঁর বাহিনীকে ব্যবহার করেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানিয়েছে, সাংসদের নেতৃত্বে সাভারে যেসব মিছিল হতো, তার শুরুটা হতো রানা প্লাজার সামনে থেকেই। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা রানা প্লাজার সামনে জড়ো হয়ে মিছিলে যোগ দিতেন। বিভিন্ন মিছিলে লোক সরবরাহ করে স্থানীয় সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর এ কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সাংসদ মুরাদ জং এবার তাঁকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেন।

২৩. সাভার যুবলীগ কমিটিতে রানার নাম নেই - প্রধানমন্ত্রী
সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রানা প্লাজার মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা বলে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আমি সাভারের যুবলীগের কমিটির নাম নিয়ে এসেছি। সেখানে রানার নাম নাই।’

২৪. সোহেল রানাকে বহিষ্কার করবে যুবলীগ?
সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানাকে বহিষ্কার করবে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এ জন্য আগামীকাল জরুরি ভিত্তিতে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
সোহেল রানার বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, কেউ যদি অপরাধী বা সন্ত্রাসী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে তাত্ক্ষণিক কারণ দর্শাতে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা লাগে না। তবে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন লাগে। তিনি বলেন, আগামীকাল যুবলীগের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অবস্থা বিবেচনায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

২৫. তদন্ত করবেন সেই ইউএনও!
ভবনটির ফাটল ধরা পড়েছিল দুইদিন আগেই। গত মঙ্গলবার বিকেলে ভবনে গিয়ে ফাটল দেখে আসেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবির হোসেন সরদার। এরপর গতকাল বুধবার আবার সেখানে কাজ শুরু হয়। ভবনটি প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।

শ্রমিকদের অভিযোগ, ইউএনও দেখার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপর ভবন মালিকের কথা অনুযায়ী কারখানা মালিকেরা শ্রমিকদের ডেকে এনে ফেলেছেন মৃত্যুমুখে। এখন পর্যন্ত নিহত ২৫৬ জন। শ্রমিকদের অভিযোগ, এই হত্যার দায় কিছুমাত্র হলেও ইউএনওকে নিতে হবে।
সেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাই এবার পেয়েছেন ভবন ধস ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব। ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটিতে তাঁকে সদস্য করা হয়েছে। আর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির স্বরাষ্ট্র সচিব ওই ইউএনও।

২৬. এনাম হাসপাতালের অনন্য সেবা
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকে ট্রলি, স্ট্রেচার আর হুইলচেয়ার নিয়ে প্রস্তুত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। ঘেমে-নেয়ে একাকার। কারও অ্যাপ্রনে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। একটার পর একটা অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে দাঁড়াচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ঢোকামাত্রই ট্রলি ঠেলে ছুটে যাচ্ছেন এই হবু চিকিৎসকেরা। ফটক থেকে নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। সেখান থেকে অবস্থা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগে।
গতকাল বুধবার সকালে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর থেকেই একনাগাড়ে বিনা পয়সায়, কোনো প্রকার নিবন্ধন বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সেবা দিয়ে চলেছেন সাভারের এনাম মেডিকেলের চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ সব কর্মীরাই।

পরিশিষ্ট
অতীতে আমরা বহুবার দেখেছি, দেশের যে কোন দুর্যোগে নিঃস্বার্থভাবে আন্তরিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সাধারন মানুষ। যারা রাজনীতিবিদদের মতো বাকবাকুম করতে জানেনা, জানেনা গলিত লাশ আর মানুষের আবেগ নিয়ে বাণিজ্য করতে।

এদেশের রাজনীতিকেরা অন্ধ নয় তবে একগুঁয়েমীগ্রস্থ। এদের স্বভাব হচ্ছে “বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার”। তাইতো সারা বিশ্ব যেটা সত্য বলে জানে, সংখ্যালঘু রাজনীতিবিদরা সেটা মানতে নারাজ। প্রশ্ন হলো, কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে?

সুশিক্ষিত নয় বলেই এদেশের রাজনীতিবিদরা শিখতে জানেনা। নইলে এরা অনেক কিছু শিখতে পারতো এদেশের অতি সাধারন মানুষগুলোর নিকট হতে। প্রকৃতই এদের নেই কোন প্রজ্ঞা, মেধা, আত্নসম্মানবোধ কিংবা লজ্জা, আফসোস এরা আজও সভ্য হতে পারেনি। সুত্র :ব্লগ ডটনেট





জাতীয় এর আরও খবর

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ
রাঙামাটিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি রাঙামাটিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি
উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাস্তবায়নযোগা উদ্যোগ নিন-সাইফুল হক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পরিহার করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাস্তবায়নযোগা উদ্যোগ নিন-সাইফুল হক
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চলমান অস্থিরতায় সরকারের দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ চলমান অস্থিরতায় সরকারের দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ
নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও  সংস্কার জরুরী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরী
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
কাল জাতীয় প্রেসক্লাবের গণঅভ্যুত্থান - গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র: নাগরিক বিতর্ক শীর্ষক আলোচনা সভা কাল জাতীয় প্রেসক্লাবের গণঅভ্যুত্থান - গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র: নাগরিক বিতর্ক শীর্ষক আলোচনা সভা

আর্কাইভ