রবিবার ● ৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য অঞ্চলে থাকবে মাত্র ৪ ব্রিগেড : কাল খাগড়াছড়িতে হারতাল
পার্বত্য অঞ্চলে থাকবে মাত্র ৪ ব্রিগেড : কাল খাগড়াছড়িতে হারতাল
বাসস :: পার্বত্য চট্টগ্রামের চার জায়গায় কেবল চারটি ব্রিগেড থাকবে এবং বাকিগুলো সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ৮ মে সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবের পার্শ্ববর্তী স্থানে নির্দিষ্ট দুই একর জমির ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনা ক্যাম্পগুলো অধিকাংশই তুলে নেয়া হয়েছে। চারটি জায়গায় কেবল ৪টি ব্রিগেড থাকবে, বাকিগুলো সব সরিয়ে নেয়া হবে। যেজন্য রামুতে আমরা একটা সেনানিবাস করেছি।
তিনি বলেন, কেবল ভূমি সংস্কার ব্যতীত পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চারটি ব্রিগেড ব্যতীত অধিকাংশ সেনা ক্যাম্পও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভূমি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন একাধিকবার গঠন করলেও কমিশনের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। কারণ সেখানে কিছুটা অবিশ্বাস এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন-২০০১ এর কতিপয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সম্ভব সবকিছু করতেই সরকার প্রস্তুত রয়েছে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।
প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রকল্পে ছয়তলা ভবন, মাল্টিপারপাস হল, ডরমেটরী, প্রশাসনিক ভবন, জাদুঘর, লাইব্রেরি, ডিসপ্লে সেন্টার, থিয়েটার হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বাসভবন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন থাকবে।
এদিকে, বৈষম্যের অভিযোগ এনে খাগড়াছড়িতে আগামীকাল ৯ মে সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য বাঙালি সংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনটির প্রেসসচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত প্রেরিত বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ডাক দেন। সংগঠনটির দাবী, বৈষম্য নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠির সুযোগ সুবিধা যেন নিশ্চিত হয়।