বুধবার ● ১১ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের সমাপনী
রাঙামাটিতে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের সমাপনী
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৮ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২০মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ- দাতা সংস্থা সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি বাস্তবায়নে ও ড্যানিডার অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলার ৫৪জন কৃষক সহায়তাকারীদের (৪র্থ ও ৫ম ব্যাচ) ২মাস ব্যাপি প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান বুধবার ১১মে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও হর্টিকালচার সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা, প্রাণী সম্পদ বিভাগের ডাঃ দেবরাজ চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ- দাতা সংস্থা সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ফিরোজ ফয়সাল আহমেদ বক্তব্য দেন৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরণ চাকমা৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি৷ দেশের প্রায় ৭৫ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল৷ তার মধ্যে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ বেশীর ভাগই কৃষি, মত্স্য ও প্রাণী সম্পদের উপরই জীবিকা নির্বাহ করে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফসল উত্পাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে বর্তমান সরকারের গৃহীত পরিবেশবান্ধব কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিক সাফল্যে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ সরকারের পাশাপাশি পাহাড়ে কৃষি, মত্স্য ও প্রাণী সম্পদের উত্পাদন বাড়ানোর লক্ষে দাতা সংস্থা সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র এই প্রকল্পের কাজগুলো সত্যিই প্রশংসনীয়৷
তিনি বলেন, দেশের কৃষি ফসলের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন খাতে ভর্তকি দিচ্ছে৷ পাশাপাশি সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷ প্রশিক্ষণ মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, ২মাসব্যাপি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তা নিজ নিজ পরিবারের পাশাপাশি গ্রামের অন্যান্য কৃষকদের ফসল উত্পাদনে ব্যয় করতে হবে৷ এতে করে এলাকার ও দেশের উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে৷ তিনি আগামী বর্ষা মৌসুমে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে ৩০টি উন্নতজাতের আম ও ১০টি লিচু চারা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন৷
পরে অতিথিরা ৩জন প্রশিক্ষাণার্থীদের মাঝে পাম্প মেশিন ও অন্যান্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন৷