মঙ্গলবার ● ২৪ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ
বিশ্বনাথে অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নতুন বাজারস্থ সবজি বাজার এলাকায় গড়ে উঠা ১২টি অবৈধ দোকানের ৭টি দোকান বহাল রেখে ৫টি দোকান উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত৷ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হক’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়৷ ডানে-বামে অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখে মধ্য থেকে ৫টি দোকান কোঠা নোটিশ ছাড়া উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে মানববন্ধন আহবান করেছেন উচ্ছেদকৃত দোকানগুলোর মালিকরা৷ এদিকে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা বহাল না রেখে, বাসিয়া নদীর তীরে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জোরদাবি জানিয়েছেন সর্বস্থরের এলাকাবাসি৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে নতুন বাজার এলাকার সবজি বাজারের পাশে বাসিয়া নদীর তীরে রাতের আধাঁরে এক সাথে ১২টি অবৈধ দোকান কোঠা নির্মান করা হয়৷ এর কিছু দিন পর নতুন বাজারস্থ মাছ বাজারের পাশে মসজিদের নাম ব্যবহার করে আরেকটি প্রভাবশালী মহল একসনা বন্দোবস্ত এনে পাকা দোকান কোঠা নির্মাণ করেন৷ পরবর্তিতে একসনা বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তা আর পুনঃবন্দোবস্ত হয়নি৷ তারপরও স্ব-স্থানে বহাল রয়েছে সেই অবৈধ স্থাপনা৷ আরেকটি অংশে রয়েছে আধাঁপাকা নির্মিত অবৈধ স্থাপনা৷
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সব অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখে মধ্যবর্তি স্থান থেকে ৫টি দোকান কোঠা উচ্ছেদের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী৷ মত্স্যজীবিদের পক্ষ থেকে একাধিক বার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আবেদন করলে কোন প্রদক্ষেপ প্রশাসন নেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের দাবিকৃত ৪ লাখ টাকা পরিশোধ না করার কারণে ডানে-বামে অবৈধ স্থাপনা রেখে মধ্য থেকে ৫টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উচ্ছেদকৃত দোকান কোঠার মালিকগণ৷
উচ্ছেদকৃত দোকান কোঠার ভূমি লিজ আনার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন দাবি করে উচ্ছেদকৃত দোকান মালিক জুনাব আলী ও ময়না মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে আমাদের দোকান রয়েছেন৷ সম্প্রতি কাল বৈশাখী ঝড়ে দোকানগুলোর টিন উড়ে গেছে৷ এগুলো মেরামত করতে গেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও তসিলদার অনিল বাবু আমাদের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন৷ ইতিমধ্যে তসিলদার অনিল সিংহকে দাবিকৃত টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়৷ গত রোববার মোবাইল ফোনে (ময়না মিয়ার) অনিল বাবু বাকি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন৷ দাবিকৃত ওই টাকা না দেওয়ায় কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ডানে-বামে আরও স্থাপনা বহাল রেখে আমাদেরগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে৷
নিজের উপর উত্তাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তহসিলদার অনিল সিংহ বলেন, তাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কারণে আমাদের বিরম্নদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে তারা (জুনাব-ময়না)৷ তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি, এমনকি টাকার জন্য কাউকে কোন ফোন দেওয়া হয়নি৷
টাকা দাবির বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবদুল হক বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য দোকান মালিকদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে৷ নোটিশ প্রদানের পরও দোকান মালিকরা নদীর তীড় থেকে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানগুলো উচ্ছেদ করেন নি৷ ফলে আজ (মঙ্গলবার) কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে৷