বৃহস্পতিবার ● ২ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে ড্রেজারের বালিতে শিশু নিখোঁজের অভিযোগ
গাজীপুরে ড্রেজারের বালিতে শিশু নিখোঁজের অভিযোগ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৯জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৫মিঃ) গাজীপুরের কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলার সময় পানি ও বালির নিচে তলিয়ে এক শিশু নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে৷
খবর পেয়ে ২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বালি সরিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷
নিখোঁজ ওই শিশুর নাম শ্রীবাস চন্দ্র দাস (১০)৷ তার বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র দাস ও মা গীতা রাণী দাস স্থানীয় জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন৷ তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরবালু বান্দা এলাকায়৷ তারা জরুন এলাকার আরিফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন৷
নিখোঁজ শিশুর বাবা নিরঞ্জন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, তার ছেলে শ্রীবাস স্থানীয় বর্ণমালা আইডিয়াল একাডেমিতে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপাড়া করত৷ বুধবার দুপুরে স্কুল থেকে কোচিং সেরে তার সহপাঠী আরিফ, রাকিব, সজল, শাওনের সঙ্গে জরুন পূর্বপাড়া এলাকায় খেলতে যায়৷ সেখানে ড্রেজার দিয়ে একটি জলাশয় ভরাটের কাজ চলছিল৷ পাইপ দিয়ে যেখানে বালি মিশ্রিত পানি পড়ছিল সেখানে তারা খেলা করতে নামে৷ একপর্যায়ে শ্রীবাস ও আরিফ বালিমিশ্রিত পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে৷ এ সময় আরিফ ওঠে আসতে পারলেও শ্রীবাস তলিয়ে যায়৷ বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীবাস বাসায় না আসায় তার সহপাঠীদের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়৷ তখন শ্রীবাস বালিতে তলিয়ে গেছে বলে তারা জানায়৷ এ ঘটনার পর স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস কারখানার লোকদের বালি ভরাটের জায়গার নিখোঁজ শ্রীবাসকে খোঁজাখুঁজির অনুরোধ করে৷ কিন্তু রাতে তাদের অনুরোধ রাখেনি কর্তৃপক্ষ৷
স্থানীয় অধিবাসী লাল চান ও সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ ভোর ৬টা থেকে নিখোঁজ শ্রীবাসকে বালি ভরাটের স্থানে খোঁজার অনুমতি দেয়৷ সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তারা উদ্ধার কাজ করেনি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন৷ তবে, সাংবাদিকরা দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দমকল কর্মীরা উদ্ধার তত্পরতা শুরু করেন৷
এ ব্যাপারে গাজীপুর দমকল বাহিনীর উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, তাদের যথাসময়ে এ বিষয়টি কেউ অবহিত করেনি৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে তারা উদ্ধার তত্পরতা শুরু করেছেন৷ দুপুর আড়াইটার দিকেও শ্রীবাসের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে৷
তাত্ক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ডর্ড গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷