সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের গোলাম মোস্তফা সাময়িক বরখাস্ত
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের গোলাম মোস্তফা সাময়িক বরখাস্ত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের উচ্চমান সহকারী গোলাম মোস্তফাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং ০২/২০১৫)৷ দুদক গোলাম মোস্তফার সম্পদ অনুসন্ধান করছে৷
গোলাম মোস্তফা কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে৷ তিনি বর্তমান কোটচাঁদপর শহরে বসবাস করছেন৷ অভিযোগ উঠেছে, গোলাম মোস্তফা নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক৷ ব্যাবসা, বানিজ্য ছাড়াও তার গাড়ি বাড়ি রয়েছে৷
তবে এগুলো সবই বেনামে৷ নিম্নপদে চাকরী করে এতো সম্পদের মালিক হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে৷ তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা গৃহবধু হলেও স্বামীর টাকায় কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন৷ বর্তমান তিনি বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলার নিয়ে ব্যবসা করছেন৷ সুত্রমতে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদে চাকরী করার সুবাদে তিনি নানা খাতে দুর্নীতির সাথে জড়িত বলেও কথিত আছে৷
বিএনপির সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মরহুম শহিদুল ইসলামের ধর্ম ছেলে হিসেবে পরিচয় লাভ করেন৷ ৩১ বছরের চাকরী জীবনে তিনি বহুবার খোলস পাল্টে রাতারাতি পরিবর্তন করেছেন নিজেকে৷ আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি চঞ্চলের আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে দাপট দেখিয়েছেন ৮ বছর৷ জুন এবং ডিসেম্বর ক্লোজিং আসলে গোলাম মোস্তফার পোয়াবারো৷
কথিক আছে প্রতি বছর তিনি গাড়ি কেনেন৷ স্থানীয় ছেলে হিসেবে প্রভাব বিস্তার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে থাকেন৷ জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তার নামে বরাদ্দ অর্থ হরিলুট করেছেন৷ করেছেন নিয়োগ বানিজ্য৷
ঝিনাইদহ মহাফেজ খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাফিজ জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুর রউফ মন্ডলের পাঠানো চিঠি মোতাবেক গোলাম মোস্তফার জমির দলিল অনুসন্ধান করা হয়৷ অনুসন্ধানে কোটচাঁদপুর শহরে কোটি টাকার জমির সন্ধান মিলেছে৷ ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দলিল অনুসন্ধানে ৭২৩৭ হাল দাগে ২৭৯ নং দলিলে মিলেছে ৪ শতকের বেশি জমি৷ দলিল মুল্য ৮ লাখ টাকা দেখানো হলেও বর্তমান এই সম্পদের দাম কোটি টাকা হবে৷ এই জমি গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরার নামে৷ একই শহরে ১৩৮৯ নং হাল দাগে ২১১৪ নং দলিলে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ শতক জমি৷
এছাড়া ঝিনাইদহ ও মহেশপুর শহরে তার নামে বেনামে জমি এবং ব্যবসা বানিজ্য আছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা জানান, আমি দেড় মাসে আগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছি৷ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়৷ এ কারণে একদিন আমার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হবে৷
তিনি বলেন, আমি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়৷ স্থানীয় কিছু লোক আমার পিছু লেগেছে৷ আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লোকজন দিয়ে ব্যবসা করছেন৷ ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে স্ত্রী ব্যবসা করছেন বলে তিনি দাবী করেন৷