বুধবার ● ৮ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমের রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া
আলীকদমের রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০মিঃ) রমজনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগপণ্যের দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি ৷ আজ রমজানের ২য় দিনেই আলীকদমে বড় বড় বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের মূল্য ইতিমধ্যেই আকাশ ছুই ছুই করছে৷ রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বাজার ঘাট পরিষ্কার, বখাটের উত্পাত বন্ধ, ফরমালিন ও গ্যাস মুক্ত মাছ বিক্রয় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও তার দেখা মিলছেনা৷
এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্লোল কুমার সেনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তারা দ্রুতই বিভিন্ন বাজারগুলোতে কাজ করবে৷ রমজানে বেপরোয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো৷ বর্তমানে সকল পণ্যের আমদানি ও মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন পুলিশ সদস্য৷ আজ বুধবার থেকে কাজ ওই কমিটি মাঠে কাজ করবে বলে জানা গেলেও এখনো পর্যনত্ম কাউকে মাঠে দেখা যায়নি৷
অসত্ ব্যবসায়ী- মজুদদার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে৷ এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে এখন অনেক নিত্যপণ্যের দর নিন্মমুখী কিংবা স্থিতিশীল আছে বলে জানা গেছে৷ রমজানকে পুঁজি করে ক্রেতাসাধারণের পকেট কেটে শত শত কোটি টাকা নির্ঘাত হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে ভোক্তাদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষুব্দ প্রতিকৃয়া৷ মাছ বাজারে গিয়ে মাছ নাপেয়ে আসলেন মুরগীর বাজারে কিন্তু ১২০-৩০ টাকার মুরগী ১৬০ টাকা দেখে অবশেষে শুন্য হাতে ফিরতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন ভোক্তাকে৷ এছাড়া মরজানে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেয়াজ ২২ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, চিনি ৬৪ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, গরুর মাংশ ৫০০ টাকা, দেশী মুরগী ৩২০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও পূজিবাদী ব্যবসায়ীরা বাজারে পণ্যের স্বল্পতার অজুহাতে এসব পণ্যে দাম বাড়িয়ে চলেছে৷ বর্তমান অবস্থায় দেশে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় ভাগ্যপণ্যের ঘাটতির কোন আলামত না থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কাছে এখন ক্রেতারা হার মানতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এবিষয়ে কথা বলেছিলাম কয়েক জন ক্রেতার সাথে তারা জানালেন, গত একসপ্তাহ আগে যে দাম ছিল এখন প্রায় প্রত্যেকটি পণ্যের দাম তার দ্বীগুন৷ প্রশাসন চুপচাপ কেউ কিছু বলেনা৷ আমরা সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ৷ সারা দিনে আয় করি ৩০০ টাকা৷ আমাদের দ্বারা ৫০০ টাকায় গরুর মাংস ৩০০ টাকায় মুরগীর মাংস খাওয়া সম্ভবনা৷