বৃহস্পতিবার ● ২৩ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে পোষাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০
গাজীপুরে পোষাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে মূল বেতনের শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন৷
২১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে সিটি করপোরেশনের ঢাকা-গাজীপুর সড়কে স্থানীয় নলজানী এলাকার কোজিমা লিরিক গার্মেন্টের শ্রমিকদের সঙ্গে এ সংঘর্ষ বাঁধে বলে শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিদুল ইসলাম জানান৷
কারখানার আয়রনম্যান রাশিদা (২৫), শ্রমিক সাবিনা (২৪), নাজমা (২৫) ও অজ্ঞাতনামা একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাদের তিনজনের শরীরে রবার বুলেট বিঁধেছে৷
বাকিদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে৷
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক মোঃ এনামুল কবির আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, দুপুরে সাত শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়৷ এদের মধ্যে রবার বুলেটবিদ্ধ তিনজন ও অন্য একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিদুল আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, দুপুর ১টার দিকে কারখানার শ্রমিকেরা মূলবেতনের শতভাগ ঈদ বোনাসসহ হাজিরা বোনাস ও বেতন বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন৷
এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-গাজীপুর সড়কে অবস্থান নিলে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের মূল বেতনের ৫০ ভাগ এবং ৭০ ভাগ ঈদ বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তারা রাজি হয়নি৷
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে এবং কারখানার কাচ ভাংচুর করে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে৷
এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য ও শ্রমিকেরা আহত হন৷ দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঢাকা-গাজীপুর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান এএসপি তাহমিদুল৷
কারখানার ম্যানেজার অপূর্ব লাল হাওলাদার আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, গত বছর রমজানের ঈদে শ্রমিকদের ৭০ ভাগ ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হলেও শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি৷
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কতর্ৃপক্ষ আরও ১০ ভাগ বাড়িয়ে এবারের রমজানের ঈদ বোনাস ৮০ ভাগ দেওয়ার আশ্বাস দিলেও মঙ্গলবার শ্রমিকরা অযৌক্তিভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে৷
ঘটনার পর হতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি৷ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷