সোমবার ● ২৭ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার ২ সঙ্গী নিয়ে অস্ত্রসহ আটক
দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার ২ সঙ্গী নিয়ে অস্ত্রসহ আটক
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :: (১৩ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪১মিঃ) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শপাড়ার একটি বাড়ি থেকে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার রেজাউল ইসলাম পাঠান (৩২) ওরফে রেজাউল দালালকে অস্ত্র ও মাদকসহ ঝিনাইদহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ আটক করেছে৷
এ সময় তার দুই সহযোগী মিলন (৩৮) ও নান্টু মল্লিক (৩৪) কে আটক করা হয়৷ রেজাউল ইসলাম পাঠান কোটচাঁদপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আদর্শপাড়ার মৃত মোমিন পাঠানের ছেলে৷ আটক মিলন হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ও নান্টু মল্লিক চুয়াডাঙ্গাার জীবননগর উপজেলার কন্দবপুর গ্রামের নিয়ামত মল্লিকের ছেলে বলে র্যাব জানান৷
আটককৃতদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি গুলি, ফেনসিডিল, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, ইয়ারগানের বাট, ইয়াবা, লক্ষাধীক নগদ টাকা ও পুলিশের পোশাকসহ বিভিন্ন রকমের অবৈধ জিনিস উদ্ধার করে র্যাব৷ ২৭ জুন সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ র্যাব কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়৷ ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান,রবিবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে ওই তিন মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্র ও গুলি নিয়ে কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শপাড়ায় অবস্থান করছিলেন৷
এমন খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে৷ এসময় তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়৷ র্যাব আরো জানায়, রেজাউল পাঠান দক্ষিনাঞ্চল পশ্চিমাঞ্চলের সোনা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি ৷ ধীর্ঘদিন ধরে তিনি এ কাজের সাথে জড়িত ৷ তিনি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে নিজেই পুলিশের পোশাক পরে অভিযান পরিচালনা করতো বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে৷
এদিকে এলকাবাসির অভিযোগ, কোটচাঁদপুরের এক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই রেজউল দালালকে সহায়তা করে আসছিলো ৷ ফলে বছরের পর বছর রেজাউল দালাল মুকুটহীন ভাবে রমরমা পরিবেশে চোরাচালান ব্যবসা করে আসলেও তিনি ছিলেন আইনের উর্ধে৷ অল্প দিনে তার কোটিপতি হওয়ার পেছনে রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো সব চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ আর এ সব করতেন তিনি র্যাব ও পুলিশেরে সোর্স পরিচয় দিয়ে৷
ফলে ভয়ে এলঅকার কেও মুখ খুলতে সাহস পেতেন না ৷ কেও প্রতিবাদ করলেই তাকে ফেনসিডিল দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হতো ৷ র্যাবের হাতে রেজাউল দালালের আটক হওয়ার খবরে কোটচাঁদপুরসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে চোরাচালান সিন্ডিকেটে আতংক বিরাজ করছে বলেও একটি সুত্র জানায়৷ এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে৷