রবিবার ● ৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে ৪শত পুলিশ নিয়ে জঙ্গী বিরোধী অভিযান চলছে
ঝিনাইদহে ৪শত পুলিশ নিয়ে জঙ্গী বিরোধী অভিযান চলছে
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল বিগ্রহ মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং ২)৷ মঠের সভাপতি সুবল চন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে শুক্রবার মধ্যরাতে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন৷
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান৷ তবে সেবায়েত হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যনত্ম কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি৷
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, খুনিদের গ্রেফতার করতে ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে৷ পুরোহিত আনন্দ গোপাল ও সেবায়েত শ্যামানন্দ হত্যার সাথে জড়িতদের ধরতে ঝিনাইদহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷
তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাত থেকে এ পর্যন্ত একজন শিবির ও চার জামায়াত নেতাসহ ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই জোরদার অভিযান চলবে বলেও তিনি জানান৷
তবে জেলাব্যাপী মোতায়েনকৃত পুলিশের সংখ্যা ৪০০ হবে বলে একটি সুত্র জানায়৷ শুক্রবার দুপুর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে রিজার্ভ পুলিশ বাসযোগে ঝিনাইদহে আসতে থাকে৷
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে পুজার জন্য ফুল তোলার সময় ৩ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল যোগে এসে শ্যামানন্দ দাসকে মন্দিরের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়৷ শ্যামানন্দ দাসকে মঠের মধ্যেই সমাহিত করা হয়েছে৷ এর আগে চলতি বছরের গত ৭ জুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করোতিপাড়া গ্রামের আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী, ৭ জানুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের বেলেখাল বাজারে খ্রীষ্টান হোমিও চিকিত্সক সমির বিশ্বাস ওরফে সমির খাজা ও ১৪ মার্চ কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকার শিয়া মতবাদের হোমিও চিকিত্সক আব্দুর রাজ্জাককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷
এই চার হত্যাকান্ডের বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রচার করে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আইএস এর দায় স্বীকারের বিষয়টি ভুয়া এবং জামায়াত শিবিরের কাজ বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়৷
সরকারের কয়েক জন প্রভাবশালী মন্ত্রীসহ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের এসএম মনির-উজ-জামান এ সব হত্যাকান্ডের পর ঝিনাইদহ এসে সভা সমাবেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের দায়ী করে বক্তব্য দেন৷
এদিকে নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সব মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তারা সনত্মষ্ট নয়৷ দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি তাদের নজরে না পড়ায় হত্যাকান্ডের শিকার পরিবারগুলো হতাশ৷
তবে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ আগেই জানিয়েছেন, হোমিও চিকিত্সক সমির খাজা, পুরোহিত আনন্দ গোপাল ও কালীগঞ্জের হোমিও চিকিত্সক আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ক্লু ও মোটিভ পুলিশ উদ্ধার করেছে৷
এ সব মামলায় কয়েক জন গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন বলেও তিনি জানান৷