সোমবার ● ৪ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » জয়দেবপুর জংশনে যাত্রীর চাপ কম, ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগও কম
জয়দেবপুর জংশনে যাত্রীর চাপ কম, ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগও কম
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সাথে আসন্ন ঈদ উল ফিতর উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকাসহ, গাজীপুরে বসবাসকারী মানুষ বাড়ি ফিরছেন৷ তবে অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবার ঈদের ছুটি বেশি হওয়ায় বাস বা ট্রেনে যাত্রীর চাপ কম৷ যাত্রীর চাপ নেই জয়দেবপুর জংশনেও৷
দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ট্রেন চলাচল করে গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন হয়ে৷
৩ জুলাই রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জয়দেবপুর জংশনে অবস্থান করে যাত্রীদেরে চাপ লক্ষ্য করা যায় নি৷ যাত্রীর এ রকম চাপ সচারাচরই এ জংশনে থাকে৷ তবে যাত্রীর চাপ ক্রমে ক্রমে কিছুটা বাড়ছিল৷
নওগার আত্রাই উপজেলা সদরে বাড়ি শামীম মিয়া ও নূরুল ইসলাম এবং এসএম মিলনের৷ তারা চাকুরি করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ক্লসার্স এ্যাপারেলস পোশাক কারখানায়৷ জয়দেবপুর জংশনে কথা তাদের সঙ্গে৷ তারা আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, আজ রবিবার লাঞ্চের পর বেতন-ভাতা পরিশোধ করে ঈদ উপলক্ষে কর্তৃপক্ষ ৮ দিনের ছুটি দিয়েছেন৷ ঈদের এ ছুটি স্বজনদের সাথে কাটাতে তারা বাড়ি ফিরছেন৷ তারা বেশিরভাগ সময়ই ট্রেনে বাড়ি যান৷ তারা জানান, অন্যান্য বারের ঈদের চেয়ে এবার এ জংশনে যাত্রীর চাপ কম দেখছেন৷
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার মাস্কো গ্রম্নপের পোশাক করখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ পদে চাকুরি করে করেন কুড়িগ্রামের কোদালকাঠি গ্রামের খয়বর মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া৷ তিনি আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, কারখানা ৯ দিনের ছুটি দিয়েছে৷ গ্রামের বাড়ির বাড়িতে বাবা, মা ও তিন ভাই রয়েছে তার৷ প্রায় ৬ মাস আগে তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি যাচ্ছেন৷ তার মতে এবারের ঈদে জয়দেবপুর জংশনে যাত্রীর চাপ কম৷
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাষ্টার মোঃ শহিদুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, তিনটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন এবার জংশন হয়ে চলাচল করছে৷ এর মধ্যে সকাল ৯টার জামালপুরগামী ঈদ স্পেশাল, বিকেল পৌণে ৫টা পার্বতীপুরগামী ঈদ স্পেশাল, এবং রাত ১০টা ৩৫ মিনিট খুলনাগামী ঈদ স্পেশাল চলাচল করছে৷ এছাড়া প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়েছে৷ তার মতে, এবার ঈদে সরকারি চাকুরিজীবীদের ছুটি ৯ দিন হওয়ায় এবং গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা গুলো ধাপে ধাপে ছুটি দেয়ায় যাত্রীদের চাপ একবারে পড়ে নি৷