মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের ঈদ বাজারে সাধ আর সাধ্যে চলছে ভারতীয় পোশাক কেনা কাটা
ঝিনাইদহের ঈদ বাজারে সাধ আর সাধ্যে চলছে ভারতীয় পোশাক কেনা কাটা
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার৷ মার্কেট গুলোতে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই৷ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যনত্ম চলছে জমজমাট কেনাবেচা৷ নামিদামি বিপণি বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকান গুলোতেও পুরোদমে চলছে বেচাকেনা৷ সাধ আর সাধ্যের সঙ্গে মিল রেখে আপনজনদের জন্য কেনাকাটা করছেন মানুষ৷ তবে এ বছর দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতের পোশাকগুলো দখল করে রেখেছে ঈদের বাজার৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের জামান সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, রফি টাওয়ার, মুিন্স সুপার মার্কেট, আজমিরি সুপার মার্কেট, সায়াদাতিয়া মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে তরুণ তরুণীদের ঈদের পোশাক কেনার ধুম পড়ে গেছে৷ প্রচন্ড গরম ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী পুরুষসহ সব বয়সী ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে ছুটছেন এ দোকান থেকে সে দোকানে৷
ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় জলপরী, রাই কিশোরী, আনারকলি, আশিকি, মাসাককালি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, ডিসকো চালি, টাপুরটুপুরসহ নানা বাহারি নামের বিভিন্ন পোশাক দেদারছে বিক্রি হচ্ছে৷ মান ভেদে এসব পোশাক তিন হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যনত্ম দাম হাকছেন দোকানিরা৷ পাশাপাশি দেশীয় তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের পোশাকও বিক্রি হলেও তা তুলনামূলক কম৷
ঝিনাইদহের মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের ঈদের বাজারে ভারতীয় শাড়ির দাপট অপ্রতিরোধ্য৷ সীমানত্মবর্তী জেলা শহর হওয়ায় কিছুটা হলেও এর সহজ প্রাপ্যতা রয়েছে৷ গৃহিণী ও বধূরা ভারতের বিভিন্ন সিনেমা ও নায়িকার নামের শাড়ির দিকে ঝুঁকছেন বেশি৷ বিভিন্ন নামের পাথর আর চুমকির কারুকাজ করা গাঢ় রঙের এসব শাড়িতে বাজারের দোকানগুলো ভরে গেছে৷
ভারতীয় এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার শুরু করে ৩০/৩৫ হাজার টাকা পর্যনত্ম৷ এবারের ঈদ উপলক্ষে বাজারে নতুন এসেছে লেহেঙ্গা, ঝিলিক, জিপসি এবং স্যান্ডেলের মধ্যে এসেছে পোড়ামন, মালেকা সুন্দরি, ঝিলিক, মনপুরা, রূপসী বাংলাসহ হরেক রকমের ও ডিজাইনের জুতা স্যান্ডেল৷
জামান সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী কওসার আলী সাংবাদিককে জানান, ‘এবার ঈদের পোশাকে দেশীয় ডিজাইনে বৈচিত্রতা থাকায় চাহিদাও বেশি৷ বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশি পোশাকের চাহিদাও কম নয়৷ আমরা দেশি-বিদেশি দুই ধরনের পোশাকই বিক্রি করছি৷ বিদেশি পোশাকের মধ্যে পাকিসত্মানি ও কাশ্মিরি কিছু নতুন ডিজাইনের পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে৷’
এদিকে, শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও পুরোদমে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা৷ বঙ্গবাজার মার্কেট, কেসি কলেজের পাশের মার্কেট, ম্যাটিনিটির পাশের মার্কেট, জিন্নাহ মার্কেটসহ সবকটি মার্কেটেই এখন উপচেপড়া ভিড়৷ এসব মার্কেটে নিম্ন-মধ্যবিত্ত লোকজন তাদের পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন৷
হেলাল উদ্দিন নামে এক ক্রেতা সাংবাদিককে জানান, ছেলের জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন৷ কিনু্তু ভিড়ের মধ্যে পছন্দ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷
তিনি জানান, মার্কে গুলোতে চাঁদাবাজ আর বখাটের উত্পাত না থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা৷
আদর্শপাড়ার সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘পরিবারের সকলের জন্য ঈদের বাজার করতে এসেছি৷ তবে দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে৷ আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ৷ অল্প বাজেটের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে হবে৷ তবে দেশি অনেক ভালো মানের কাপড় রয়েছে৷
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান প্রতিনিধিকে জানান, ঝিনাইদহে ঈদের আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে পুলিশি টহল জোরদার করাসহ শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷