বৃহস্পতিবার ● ২১ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » ভারত থেকে আসা হাতিটি এখন দুর্গম অঞ্চল ছিন্নার চরে
ভারত থেকে আসা হাতিটি এখন দুর্গম অঞ্চল ছিন্নার চরে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৬ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২১মিঃ) ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ী এলাকা থেকে আসা বন্য হাতিটি এখন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল মনসুরনগর ইউনিয়নের ছিন্নার চর ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ বগুড়া ও জামালপুর সীমান্ত হয়ে ২০ জুলাই বুধবার বিকেলে ভেসে এসে কাজিপুর উপজেলার ছিন্নার চরের একটি পাট ক্ষেতে অবস্থান নেয়৷ ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাতিটি ছিন্নার চরেই ঘোরাফেরা করছিল৷ এদিকে, হাতিটিকে এক নজর দেখার জন্য চরাঞ্চলে শত শত নারী-পুরুষ শিশু ভিড় করছে৷ মাঝে মাঝে হাতিটি স্থান বদলের চেষ্টা করলেও উপস্থিত শত শত মানুষের চিত্কার আর নানা শব্দে তা কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে৷ তবে সকালের দিকে হাতিটি পুরো এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছে৷ চরাঞ্চলের বন-কলা গাছ ও জমিতে লাগানো আউশ ধান সহ নানা খাবারও খাচ্ছে৷ অন্যদিকে, হাতিটি আক্রমনে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ ফসলী জমি নষ্ট করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে৷
রাজশাহী বিভাাগের বন্য পশু কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, হাতিটি দুর্গম চরে আটকা পড়েছে৷ ৫ টনের অধিক ওজনের হাতিটিকে সরাতে যোগাযোগ ভাল ব্যবস্থা নেই৷ এতো ওজনের হাতিকে নৌকা দিয়েও স্থানান্তর করা সম্ভব নয়৷ তাড়াছা হাতিটিকে অজ্ঞান করা হলেও এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে আবারো জ্ঞান ফিরে আসবে৷ এত কম সময়ে হাতিটি সরানো সম্ভব নয়৷ দিনে একবারের বেশি অজ্ঞান করা হলে এটি মারা যাবে৷ তবে বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকসহ তাদের বনবিভাগকে জানানো হয়েছে৷ তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আসার জন্য আবেদন করেছে৷ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেই খুবশীঘ্রই তারা বাংলাদেশে এসে হাতিটি নিয়ে যাবেন৷ সে সময় পর্যনত্ম হাতিটিকে সঠিক উপায়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে৷
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমীর কুমার কুন্ডু জানান, হাতিটিকে কেউ যেন বিরক্ত না করে এবং হাতিটি যেন কোন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷