সোমবার ● ২৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কালীগঞ্জে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য
কালীগঞ্জে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে কালীগঞ্জের বিল থেকে ২৩ জুলাই শনিবার বিকালে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নিহতের নাম সোলাইমান মোল্লা ওরফে সোলমান (৫৫)৷ তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়াবাড়ী রয়েন গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দিন হাসুর ছেলে৷ পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে পানিতে পড়ে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে৷ তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে৷
স্থানীয়রা জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের ফালাইনা মিয়ার টেকে শুক্রবার বিকেলে জুয়ার আসর চলছিল৷ কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এম এ হকের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে পুলিশ সেখানে হানা দেয়৷ পুলিশ জুয়ার আসর থেকে ৩ জনকে আটক করলেও পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে অপর দুইজন পার্শবর্তী নাওয়ানের বিলের পানিতে ঝাপ দেয়৷ এ ঘটনার পর একজন সাঁতরে পাড়ে উঠে এলেও অপর ব্যক্তি সোলাইমান নিখোঁজ থাকে৷ রাতভর বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও স্বজনরা তার সন্ধান পায়নি৷ পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে গিয়ে ওই বিলের পানিতে সোলাইমানের লাশ ভাসতে দেখে৷ খবর পেয়ে বিকালে পুলিশ সোলাইমানের লাশ উদ্ধার করে৷
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জবেদা বেগম কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং-১৬) করেছেন৷ মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত ৷ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় আতলাব বিলে অলঙ্গা (মাছ ধরার বিশেষ হাতিয়ার) দিয়ে মাছ ধরতে যায়৷ সেখানে গিয়ে সোলাইমান নিখোঁজ হয়৷ তিনি আর বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি করি৷ পরদিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে আতলাব বিলে গিয়ে তার স্বামীর লাশ ভেসে থাকতে দেখি৷ পরে খবর পেয়ে বিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করা হয়৷ তিনি সাঁতার জানতো না৷ ধারনা করা হচ্ছে, মাছ ধরতে গিয়ে পড়নের লুঙ্গিতে প্যাঁচ লেগে পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছেন৷
এব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, ওই টেকে মাদক কেনা বেচার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়৷ এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি৷ পালাতে গিয়ে কেউ পানিতে ঝাপ দিয়েছে কি-না তা জানা নেই৷ বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে৷
অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এম এ হক বলেন, ওই টেকে তার ধাওয়া খেয়ে কেউ মারা যায়নি৷
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷