রবিবার ● ৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএস এর মধ্যে ফের বন্দুক যুদ্ধ
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএস এর মধ্যে ফের বন্দুক যুদ্ধ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৩ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.৩০মিঃ) রাঙামাটি জেলার লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে শরণ চাকমা (২৮) নামে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৬ আগষ্ট শনিবার রাতে জেলার লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় সীমান্তে হারিক্ষং এলাকায় এঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় সীমান্তে হারিক্ষং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিসিজেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়।
এসময় দীর্ঘ দিন পর আবারো উভয়পক্ষে মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। এঘটনায় ইউপিডিএফের কর্মী শরণ চাকমা নামে একজন নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কযেকজন। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতের নাম পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি জেলাধীন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোমিনুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লংগদু ও নানিয়ারচর সীমান্তবর্তী এলাকা মধ্যম হারিক্ষং এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। পিসিজেএসএস কর্মীরা একজন ইউপিডিএফ এর কর্মীকে নৌকাতে করে অপহণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপিডিএফ কর্মী নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ডুব দেয়, পিসিজেএসএস কর্মীরা তাকে লক্ষ করে বেশ কয়েক রাঊন্ড গুলি চালায়। এ ঘটনায় কতজন নিহত ও আহত হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কিছু বলা যাচ্ছেনা। ওসি লংগদু আরো বলেন ঘটনাটি ঘটেছে নানিয়ারচর থানার এলাকাতে তারা হয়তো আরো বেশী তথ্য দিতে পারেন।
নানিয়ারচর থানায় বার বার চেষ্টা করেও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহাবুবুল আলমকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নানিয়ারচর পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ঘটনাটি লংগদু ও নানিয়ারচর দুইটি উপজেলার সীমান্তে দুর্গম এলাকাতে ঘটেছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আসল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএস এর পক্ষ কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।