সোমবার ● ৮ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পার্বত্য বাঙালীদের সর্বক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
রাঙামাটিতে পার্বত্য বাঙালীদের সর্বক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৪ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩.০০মিঃ)পার্বত্য বাঙালীদের সর্বক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে শ্লোগান নিয়ে ৮ আগষ্ট সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ, পার্বত্য গণ শ্রমিক পরিষদ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালীদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক পার্বত্য গণ পরিষদ মো. রাসেল হোসেন সাগর, যুবনেতা মো. কায়েশ হোসেন, সহ সভাপতি বাঙালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ মো. আলাউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সোহেল হৃদয়, সহ সভাপতি পার্বত্য নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা কমিটির আতিকুর রহমান ও আহবায়ক পার্বত্য নাগরিক পরিষদ বেগম নুর জাহান৷
বক্তারা বলেন, এই মানববন্ধন থেকে দাবি করছি বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম নামের সংগঠনটি কালো তালিকাভুক্ত করা হোক৷ যেহেতু এই সংগঠনটি সরকার বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের প্রচলিত আইন বিরোধী ৷ এসময় বেগম নুর জাহান আগামী বুধবার ১০ আগষ্টের হরতাল সফল করার আহবান জানান এবং বাঙালীদের বিরুদ্ধে যদি কোন আইন করা হয় বা সরকার অনুমোদন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালীদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে বলে তিনি সরকারারের প্রতি হুশিয়ারী দেন৷
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ এর ৬টি ধারা সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা৷ ফলে ভুমির মালিকানা হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে যাচ্ছে, পার্বত্যঞ্চলে বসবাসরত লাখ লাখ বাঙালি পরিবার৷ গ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে পার্বত্য ভুমি কমিশনের আইনের এই সংশোধনী আদায় করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস৷এই সংশোধনী কার্যকর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালীদের জীবণে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা কল্পনারও অতীত৷ এর ফলে পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন হয়ে পরবে সন্তু লারমার ইচ্ছা বাস্তবায়নের হাতিয়ার৷ সরকারের দেয়া ভুমি বন্দোবস্ত ও মালিকানা অবৈধ বলে তা বাতিল করার ক্ষমতাও রয়েছে এ কমিশনের৷ যেহেতু এ কমিশন কোন ভুল সিদ্ধান্ত দিলেও তার বিরুদ্ধে (কমিশনের বিরুদ্ধে) অন্য কোন আদালতে আফিল করা যাবেনা তাই এর মাধ্যমে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমির উপর সন্তু লারমার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে৷ আর পার্বত্যঞ্চলের বাঙালিদের অসত্মিত্বে বিশ্বাসহীন সন্তু লারমার একক রাজত্বে বাঙালিরা তাদের ভুমি থেকে উচ্ছেদ হবে৷ তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ এর ৬টি ধারা সংশোধনের মন্ত্রী সভার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক বেগম নুর জাহান৷ পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বিবৃতিতে জানান, তিন পার্বত্য জেলার বেশিরভাগ জনগোষ্ঠি বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বের করার জন্য এটি একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র৷ এই আইনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য এলাকা বাঙালী মুক্ত করার সন্তু লারমার যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা তা সহজ হয়ে গেল৷ পার্বত্য বাঙালীরা এই আইন কখনো মেনে নেবেনা৷ প্রয়েজনে বুকের রক্ত দিয়ে এই আইন প্রতিহত করা হবে৷ তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালীরা এই আইন পুণঃবিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছে৷ অন্যথায় হরতাল,অবরোধসহ কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে এই আইন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে৷