মঙ্গলবার ● ৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদ-, ৩ জনের যাবজ্জীবন
গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদ-, ৩ জনের যাবজ্জীবন
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৫ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৫মিঃ) গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্কুলছাত্র সানাউলল্লাহ হত্যার ১৫ বছর পর ছয় জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড এবং এক ইউপি সদস্যা ও তার স্বামী-ভাইসহ তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত৷ একই সঙ্গে সকল আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে৷
৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ আদেশ দেন৷ এসময় দন্ডপ্রাপ্ত সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক শেখ, নিজামউদ্দিন শেখের ছেলে সেলিম শেখ, বাশির উদ্দিন শেখের ছেলে নয়ন শেখ, সামশুদ্দিন শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার ও আলম শেখ৷
যাবজ্জীবন দন্ডিতরা হলেন- ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত হাসেম আলী শেখের মেয়ে ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মৃত আবু সাইদের ছেলে আব্দুল মোতালেব এবং আনোয়ারা বেগমের ভাই শেখ সামসুদ্দিন৷ দন্ডপ্রাপ্তরা সবাই পরষ্পরের আত্মীয়৷
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধ ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আনোয়ারা বেগমের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ঘাগটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সানাউলস্নাহ সরকারকে (১১)কে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়৷ পরদিন ১০ ফেব্রম্নয়ারী সকালে স্থানীয় সিঙ্গুয়া ফকির সাহাব উদ্দিন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গলায় মাফলার পেচানো অবস্থায় ছানাউল্লাহর লাশ পাওয়া যায়৷
গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ১০ ফেব্রম্নয়ারি কাপাসিয়া থানায় ১২ জনের বিরম্নদ্ধে নিহতের ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন৷
তদনত্ম শেষে পুলিশ আসামিদের বিরম্নদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন৷ দীর্ঘ শুনানি ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতের বিচারক এ রায় দেন৷ রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ বিচারক তাঁর আদেশে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিতের নির্দেশ দেন৷ রায় শোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের স্বজনরা আদালতের বারান্দায় কান্নায় ভেঙে পড়েন৷
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মকবুল হোসেন কাজল৷ আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন হাফিজ উল্লাহ৷