বুধবার ● ১০ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে আবারও হরতালের ডাক
পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দাবিতে আবারও হরতালের ডাক
ষ্টাফ রিপোর্টার:: (২৬ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৪মিঃ)গত ১ আগস্ট পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন -২০১৬ এর খসড়া সংশোধনের প্রতিবাদে ১০ আগষ্ট বুধবার পার্বত্য তিন জেলায় পার্বত্য বাঙ্গালীদের ৫টি সংগঠনের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যেই সংশোধিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর সংসদ অধিবেশন না থাকায় জরুরী বিবেচনায় গতকাল ৯ আগষ্ট মঙ্গলবার আইনটির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। গত ১ আগস্ট পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি এই আইনে সই করেন এবং ৯ তারিখ গেজেট প্রকাশ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সভপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোথিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমিয়ে ও কোরামের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে আইনের সংশোধন আনা হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছিলেন।
এরপরই এ সংশোধনের বিরোধিতা করে চট্টগ্রামের বাঙালি সংগঠনগুলো বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। সংগঠনগুলো ১০ আগষ্ট বুধবার তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করেছে। এছাড়া পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬ গেজেট প্রকাশ করায় আগামী কাল ১১ আগষ্ট বৃহসপতিবার পার্বত্য বাঙ্গালীদের ৫টি সংগঠনের আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসাবে হরতাল আরেক দিন বাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মন্ত্রিসভা সভা বৈঠকে সংশোধিত আইন অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, ‘১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান মি.সন্তু লারমার তরফ থেকে সংশোধনের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব ছিল। সংশোধনের দু’টো মূল বিষয় হল- কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহন’।
কমিশনের মোট মেম্বার ৫ জন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগের আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যানসহ অপর ২ সদস্য নিয়ে কোরাম হবে, নতুন আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যাসহ চারজন হলে কোরাম হবে।’
শফিউল আলম আরও বলেছিলেন, আগে ছিল চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। চেয়ারম্যানের বড় একট ক্ষমতা ছিল। সন্তু লারমা প্রস্তাবে বলেছেন চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। এখন চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে কোন বিষয় চূড়ান্ত হবে না।
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালীদের কোন প্রতিনিধি নাই।
আঞ্চলিক বাঙালি সংগঠনগুলোর দাবি এ আইনের মাধ্যমে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিরা আইনগতভাবে তাদের ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। এ কারণেই সংশোধিত ভূমি কমিশন আইন যে কোন মূল্যে রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামে বাঙালি সংগঠনগুলো।