শুক্রবার ● ১২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ধনকুবের রাগীব আলীর গ্রেফতারি পরোয়ানা বিশ্বনাথ থানায়,পলাতক রাগীব আলী
ধনকুবের রাগীব আলীর গ্রেফতারি পরোয়ানা বিশ্বনাথ থানায়,পলাতক রাগীব আলী
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৩মিঃ) প্রতারনা জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ছেলে,মেয়ে জামাতাসহ সিলেটের শিল্পপতি বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান রাগীব আলী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ গত১০ আগষ্ট বুধবার সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরো তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন৷ রাতেই আদালতের নিদের্শেনা বিশ্বনাথ থানায় পৌছে৷ রাতেই পুলিশ সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা হস্তান্তর করে৷ বিশ্বনাথ থানার ওসি আবদুল আদালতের নির্দেশনা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা আমাদের কাছে এসে পৌছেছে৷ এখন আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে৷ আদালত থেকে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন-শিল্পপতি রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রেজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত ও রাগীব আলীর নিকটআত্বীয় মৌলভী বাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ৷ এদের মধ্যে তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় পৌছেছে বলে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মোশারফ হোসেন৷ তিনি বলেন, আদালতের নিদের্শনা অনুযায়ী গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে৷
প্রসঙ্গত,বুধবার সিলেট মহানগর মূখ্য বিচারিক হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলা দুটির শুনানির দিন ধার্য ছিলো৷ রাগীব আলীর আইনজীবিরা আসামীদের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতকের্র ভিত্তিতে সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রাগীব আলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত৷ এছাড়া ২৩ আগস্ট পরবর্তী চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেন৷
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি৷ ১৯৯০ সালে রাগীব আলী তার আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে ভূয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন৷
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত তারাপুর চা বাগানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন৷ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন গত ১৫ মে চা বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয়৷