শুক্রবার ● ১২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আলোচনা সভা
রাঙামাটিতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আলোচনা সভা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০৪মিঃ) অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় এনে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার৷ তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ের যুবকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করছে৷ সম্প্রতি বাঘাইছড়িতে তাদের এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রস্বস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী৷ যে একটি স্থানীয় আঞ্চলিক দলের সদস্য বলে পরিচিত৷ আর এটি সম্ভব হয়েছে জনসচেতনতার কারণে৷ তিনি বলেন, একে অপরের পরিপূরকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের পার্বত্য অঞ্চল তথা দেশ থেকে জঙ্গী নির্মূল করতে হবে৷
রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ১২ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা সম্মেলন কক্ষে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কানত্মি দে বক্তব্য দেন৷
আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল৷ স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা৷
আলোচনাসভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করে দেশে জঙ্গী বীজ বপন করেছে জঙ্গীরা৷ কিন্তু তার সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গী নির্মুলে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, জঙ্গীদের মদদদাতারা দেশে তাদেও দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী চালিয়ে একটি বৈধ সরকার সরকারকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে৷ বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের উন্নয়ন কাজ করছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধমে জঙ্গীরা সেই উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্থ করছে৷ কিন্তু জনগন তাদের এ কার্যক্রমে কোনদিন সঙ্গ দেবে না৷ তিনি বলেন, সকলে সচেতন হলে দেশ থেকে জঙ্গীবাদ চিরতরে নির্মুল করা সম্ভব৷
সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, জঙ্গীবাদ নির্মুলে প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে৷ নিজ সন্তনরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে কোথায় যায় কাদের সাথে মেলামেশা করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হবে৷ নিজ ও প্রতিবেশীদেও সন্তানদের স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে দেশ প্রেমে উজ্জিবিত করতে হবে৷ তবেই সন্তানরা জঙ্গীবাদেও দিকে অগ্রসর হবে না৷
আলোচনাসভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদেও পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শণী৷