রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের ঐতিহ্য লালন ফকির
ঝিনাইদহের ঐতিহ্য লালন ফকির
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩০ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৭মিঃ) ঝিনাইদহের লালন ফকির বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধকদের মধ্যে অন্যতম৷ গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল৷
“জাত গেল জাত গেল বলে-একি আজব কারখানা,সত্য কাজে কেউ নয় রাজী-সবই দেখি তানা না না”
সময়ের কালপর্বে প্রায় দুইশত বছরেরও অধিক পূর্বে নিতানত্মই সাধারন এক অজঁ পাড়াাগায়ের প্রিয় কুটিরে বসে যে মানুষটি সৃষ্টি করেছেন আত্মদর্শন ও মানবতাবাদী এরকম অসংখ্য পদ আর উপহার দিয়েছেন নতুন এক আধ্যাতিকতা ও আত্মদর্শনের জগত, তিনিই ফকির লালন শাহ্৷
চরম অসত্মিত্ত্ব ও পরম তত্ত্বের সন্ধানী লালন নিজ গ্রাম ঝিনাইদহের হরিশপুর থেকে চলে গিয়ে কুষ্টিয়ার শেউড়িয়ার আখড়াতেই প্রকাশ করেছিলেন তার ঐশি জ্ঞানের দিব্যবানী৷
সাইঁজী লালনের সঙ্গীতগুলো চরম জ্ঞানবাদের, দেহ তত্ত্বের ব্যাখ্যা-বিশ্লোষন ও সকল অন্তর্মূখী অবস্থাকে লক্ষ করে বিসত্মারিত প্রসঙ্গমূলক সঙ্গীত৷
‘লালন’ তিন অক্ষরের রূপক এক নাম ! ‘লা’ মানে ‘না’, The No , মহাশূন্য, আধ্যাত্মিকতার শেষসত্মর ! ‘লা’ কে যিনি লন তিনিই লালন; অর্থাত্ যে সাধক বস্তুুবিশ্বের ভিড় ছাপিয়ে দেহমনে মহাশূন্যতাকে গ্রহণ করেন ! মানবীয় ক্ষুদ্র ‘আমিত্ত্ব’ অর্থাত্ ‘হ্যা’ কে যিনি সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়েছেন৷
তিনি জাগতিক নন, মহাজাগতিক ! ‘লালন’ যিনি স্বয়ং দেহমনে মহাশূন্যের আকর কেতাব৷ লালন নিজেই স্বয়ং মহাভাবসমুদ্র৷