সোমবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি :: (৩১ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪০মিঃ) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ১৫ আগস্ট সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৬ পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকাল ৯টায় নোবিপ্রবি পরিবারে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও
কর্মচারীদের অংশগ্রহণে র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে
বিভিন্ন সংগঠন ও পরিষদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে হাজী মো.
ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে ‘শোক দিবস ২০১৬- এ সন্ত্রাসমুক্ত অসাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মো. গোলাম
মোস্তাফার সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম
অহিদুজ্জামান। আলোচনা করেন উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন,
বাংলাদেশ এন্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
আতিকুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার আব্দুল জলিল (ভারপ্রাপ্ত) প্রমুখ।
সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি। এ জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ কারি, ভ্যানগার্ড। যার জন্ম না হলে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের একটি সীমারেখা ও একটি স্বাধীন পতাকা আমারা পেতাম না। কিন্তু এদেশীয় কিছু কুলাঙ্গার, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা আর্মি অফিসার এ মহান নেতাকে ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাকে এমন এক সময় হত্যা করা যখন মসজিদের শহর ঢাকায় মাইকে মাইকে ফজরের আযান ধ্বনিত হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা, কৃষি সহ সাত কোটি বাঙালির আর্থসামাজিক
উন্নয়নের মাধ্যমে এক অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ ৪১ বছরে পা দিয়েও আমরা এমন কিছু নতুন করতে পারিনি যা জাতির পিতা শুরু করে যান নি। আজ যদি একজন শেখ মুুজিবুর রহমান বেঁচে থাকতেন তাহলে আমরা আরো আগে একটি উন্নত ও সম্মৃদ্ধশালী বাংলাদেশ পেতাম।
এসময় উপাচার্য শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্না শেখা
হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন ‘বাংলাদেশকে সোনার বাংলা’
রুপে গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞ সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার
আহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানতো
বঙ্গবন্ধুকে প্রাণে মেরে ফেলা হলেও তার চেতনা অনুসরণকারীদের নাশ করা সহজ
নয়। তাই ৭৫ পরবর্তীতে আওয়ামী লীগকে নানা বিভক্ত করার পাঁয়তার চলতে
থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বারংবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি পিছ পা হননি। এসময় উপ-উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মেহেদি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. রুহুল আমিন, প্রভোস্ট . ইউছুপ মিঞা ও ড. মো. শফিকুল ইসলাম, প্রক্টর মুশফিকুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমি, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি তারেক মো. রাশেদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কর্মচারীদের পক্ষ হতে কায়সার হামিদ জিকো সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা শেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত
পরিচালনা করেন নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো.
গিয়াস উদ্দিন ভুইঞা।